সম্প্রতি আপনারা রিপোর্ট পড়ে থাকবেন। এর ব্যাপারে শুনে থাকবেন মিডিয়াতে যে ITBP এর জাওয়ান রা 200 চাইনিজ সৈনিককে আটকে দিয়েছে অরুনাচল বর্ডারে । 


আর এই সংবাদকে নিয়ে কিছু নিউজ চ্যানেল ভুল ফ্যাক্ট তুলে ধরছে। যখন চাইনিজ সৈনিক,  ইন্ডিয়াতে ঢোকার চেষ্টা করছিল। তখন  ITBP এর সৈনিকরা শুধু ঢুকতে বাধাই দেই নি,  চাইনিজ কিছু সৈনিকদের ধরেও ফেলে । সরকারি মতে কোন চাইনিজ সেনা ধরা পড়ে‌ নি (Hindustan Times)। চায়না থেকে যে দুশো সেনা আসার চেষ্টা করছিল । এর ভারত বা ভারত সীমানায় কোন‌ ক্ষতিসাধন করে নি। আর দ্বিতীয় কথা হল ‌‌‌আমরা কোন চাইনিজ সেনাকে ধরতে পারি নি। তবে এটা সত্যি যে দুসেনার সরাসরি মুখোমুখি হয়েছে। চায়নার সেনারা চেষ্টা করেছে ইন্ডিয়ার সাইট এ আসার। কিন্তু তারা এখানে‌ ঢুকতেই পারে না। যেখান থেকে গালওয়ান ভ্যালি নিয়ে বিবাদ হয়েছে সেখান থেকে দেখা গিয়েছে চায়না মুকাবিলা এড়াতে  চাইছে। চায়নার যে টপ লেবেল কমেন্ট আছে তারা আদেশ দিয়েছে যে হাতা-হাতি করবে না। আমাদের এখানে নম্বর কমাতে হবে । দেখতে হবে যেখানে ইন্ডিয়ান সেনা থাকে না সেখানে চাইনিজ সেনা চেষ্টা করে কিছু কিলোমিটার ভিতরে চলে আসে তারপর ভিতরেও চলে যায়। তবে যদি ইন্ডিয়ান সেনার দেখা পায় তবে সেখান থেকে‌ তারা ঘুরে যায়। 


তবে  কথা বলা আগে দেখা যাক এই ঘটনা ঘটার সঙ্গে কি সম্পর্ক আছে তাইওয়ান এবং ইন্ডিয়ার মধ্যে।সবার আগে বুঝতে হবে চায়না এবং ইন্ডিয়ার মাথা ব্যাথার করাণ মে 2020 থেকে শুরু হয়েছিল তা এখনো শেষ হয় নি ।এখানে চায়না প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে ইন্ডিয়ার সাথে চয়নার যে অমীমাংসিত এলাকা আছে সেখানে লাগাতার সৈনিকের সংখ্যা বাড়াচ্ছে চায়না। উদাহরণ স্বরূপ আপনারা যেনে থাকবেন উত্তরাখণ্ড একটি সমস্যা হয়েছিল চায়নার 100 সৈনিক 5 কিলোমিটার ভিতরে চলে এসেছিল। একটি ছোট সাঁকো ছিল সেটাকে ক্ষতিসাধন করে আবার চলে যায় ।


লাদাকের সমর্থনে আজও ইন্ডিয়া চায়না সমস্যা আজও বর্তমান । এ শুরু হয়েছিল 5 মে যার পরে গালওয়ান ভ্যালি ঘটনা ঘটে‌ একের পর এক ঘটনা ঘটে । এখন 2021 শেষ হতে যাচ্ছে কিছু মাসেই শেষ হয়ে যাবে । আজ পর্যন্ত এই সমস্যা সমাধান হয় নি। এরপর কিছুদিনের মধ্যে ইন্ডিয়া এবং চায়না শুরু করে দেবে 13 রাউন্ড‌। যার অর্থ এখন পর্যন্ত 13 বার কথা হয়েছে চায়না এবং ইন্ডিয়ার মধ্যে, কমান্ডার লেবেলে। তবে এ থেকে কোন রকম সমাধান হচ্ছে না। 


সমাধান বা কি করে আসবে । ইন্ডিয়া বলছে এখান থেকে পেছনে চলে যাও । চায়না বলছে  ইন্ডিয়াকে পেছনে যেতে । চায়নার কথায় কিছু এলাকা থেকে পেছনে যাব কিছু এলাকা থেকে পেছনে যাবনা। এখন লাদাখে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের সঙ্গে ইন্ডিয়ান সেনা তার জায়গা ধরে রেখেছে। উত্তারাখন্ডে আস্তে আস্তে সেনা পাঠান হচ্ছে । এবার সেখানে আরও একটা নাম জুড়লো সেটা হল অরুনাচল প্রদেশ ,যেখানে ইন্ডিয়ান সেনা দৃড় করা হচ্ছে । অরুনাচল প্রদেশের একটি এরিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর  কেননা ভুটানের পাশেই এর সীমা পড়ে যেটা হল তাওয়াং সেক্টর (Tawang Sector) অরুনাচল প্রদেশ। এই সেক্টর চায়নার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকবার দেখা গিয়েছে চায়না এই সেক্টর থেকে আক্রমন করার চেষ্টা করেছে ‌‌। কেননা চায়না এটা ভেবে থাকে এই সেক্টরের মাধ্যমে ভুটান এবং ইন্ডিয়া দুটি দেশের উপর চাপ বাড়াতে পারে । 

 আর দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে তাওয়াং সেক্টর কে নিয়ে । আপনি যদি 1968 এর যুদ্ধের কথা ভাবেন দেখতে পাবেন। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক পড়েলে বুঝতে পারবেন চায়নার সেনা কোন মতাদর্শে চলে । তারা বিশেষত মনোবিজ্ঞান যুদ্ধে বিশ্বাসী। যে দুশমন কে‌ সংকেত দাও যে কিভাবে তুমি তাকে আক্রমন করবে এবং ধ্বংস করবে। দরকার নেই তোমাকে যুদ্ধ করতে হবে শুধু মাত্র দুশমন কে একটি বার্তার মাধ্যমে বলতে পার এই যে জায়গা আছে এখানে আগে আমরা আক্রমন করেছি । আবারও এখানে আমরা আক্রমন করবো। 


Tawang Sector  ভারতের নিয়ে কিছু দুঃস্বপ্ন বহন করে । কেননা 1968 এর যুদ্ধে  যেটা 15 নভেম্বর চায়না তাওয়াং এবং ওয়ালং এ আক্রমণ করেছিল । ওয়ালং সেক্টরে কিছু সেনা থাকলেও। তাওয়াং সেক্টর দখল করে নেয় চায়না। পরে যখন যুদ্ধ শেষ হয় । তবে চায়না এখান থেকে সরে যায় । আর তাওয়াং সেক্টর ভারতের হাতে চলে আসে । তবে এখানে বলা যায়  অনেক বেশি পরিমাণে চায়না সেনা আক্রমন করে দেয় এই এরিয়াতে  ‌‌।  এর এটা নিয়ে কিছু তথ্য পেয়ে যাবেন । এখানে এটাও প্রশ্ন এত তাড়াতাড়ি কি করে চায়না তাওয়াং সেক্টর নিয়ে নিল। 



তার জন্য আজ দেখতে পাবেন ইন্ডিয়া তাওয়াং সেক্টরে বাকি যে অরুনাচল প্রদেশের এলাকা আছে তার সাথে সংযুক্ত করতে প্রচুর কাজ করছে। বর্তমানে এখনো সে কাজ চলছে । এত বছর আমারা ঘুমিয়ে ছিলাম । সিমানা এর ব্যাপারে আমরা এত দিন পর ভাবছি। সিলা পাস টানেল(Sela Pass Tunner) এর ব্যাপারে শুনে থাকবেন । যেটা দিরাং(Dirang ) কে জুড়বে তাওয়াং এর সাথে। আর এই  টার্নেলের কাজ এখনো চলছে । আর এটি বানান সম্পুর্ন হলে তাওয়াং আরও সংরক্ষিত হয়ে যাবে। আমাদের কে তাওয়াং সেক্টরের সুরক্ষা সবসময় বজায় রাখতে হবে । এটা মনে রাখতে হবে চায়না আজকে সময় দাঁড়িয়ে চায়না বুলেট ট্রেন চালু করে দিয়েছে অরুনাচল প্রদেশে কাছাকাছি । চায়না যদি চায় তাহলে হাজার হাজার সেনা নিমেষেই মোতায়েন করতে পারে অরুনাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরের আসেপাশে আর এটি এক ঘন্টার কমে হতে পারে কেননা বুলেট ট্রেনের গতি অনেক বেশি । মিলিটারিও টেস্ট করছে কি ভাবে বুলেট ট্রেন চালান যায়। 


এ ইন্ডিয়ার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ । আর যতখন সিলাপাশ টানেল তৈরি শেষ হচ্ছে। ততদিন চায়নার যে সেনা আছে তাদের এই সেক্টরে ঢুকতে দেখা দিতেই পারে । আর এসব কারনতো‌ আছে তাছাড়া এই ব্যাপারটাকে আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না । এই কথা আজকের সময় পরিষ্কার হয়ে গছে যে । তাইওয়ান এবং ইন্ডিয়া খুব তাড়াতাড়ি একটি ট্রেড এগ্রিমেন্ট সাইন করতে যাচ্ছে । আর চায়না এই ব্যাপার নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্ট আছে। যে সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিতে যদি তাইওয়ান এবং ইন্ডিয়া একসাথে কাজ করা শুরু করে দেয়। তবে যে চায়নার উপর নির্ভরতা বহুক্ষেত্রে কম হয়ে যাবে ।আর সেজন্য আমরা দেখছি তাইওয়ান এবং ইন্ডিয়া দুজন চায়নার আগ্রাসনের মুখে পড়ছে । 

 আরও পড়ুন:চায়নার অর্থনীতি হচ্ছে দুর্বল, 2 লক্ষ মানুষকে বেকার করে , রিয়েলস্টেট কোম্পানি হচ্ছে বন্ধ!

যতই এ ট্রেড ডিল আরও কাছাকছি আসবে কোন বড় কথা না চায়না আবরো কিছু না করে দেয়। ইন্ডিয়ার দিক থেকে দেখতে গেলে দেখা যায় , বাকি যে রিজেন আছে যেটা আলাদা কাহিনী , ইন্ডিয়ার জন্য অরুনাচল প্রদেশের যে সরল সমাধান আছে , সেখানে টানেল তৈরী করতে হবে এবং আউট পোস্ট বাড়াতে হবে । 


এখানে আরও একটা প্রশ্ন হঠে লং টাইম সমাধান কি হবে ? এই চায়না ইন্ডিয়া ঠান্ডাযুদ্ধ কি শেষ হতে পারে? তবে বলি  চায়না এখান খুব আক্রমণাত্মক  হয়ে আছে । সম্প্রতি আপনার শুনে থাকবেন এরা 3 এয়ার বেস ও বানিয়ে দিয়েছে ইন্ডিয়ার সিমানার কাছে এক হল Hatan Airbase , Ngari Airbase এবং Shigatse Airbase  একে লক্ষ করে ইন্ডিয়ান চিফ (IAF) একটি স্টেটমেন্ট দেয়  যে ইন্ডিয়া এয়ার ফোর্স ও তৈরি। চায়না কিছু পদক্ষেপ নিলে। আমরা তার জবাব দিয়ে দেব। কোন চিন্তার বিষয় নেই। 


তবে যদি সমাধানের কথা বলি তবে চায়ষা 1960 তে একটি সমাধান পেশ করে যার নাম প্যাকেজ সলিউশন । আর এই সলিউশনে বলা হয়েছে , আকসাই চীনের যে অধিকার আছে তোমারা আমাদের দিয়ে দেও , যার আর্থ দাঁড়ায় আকসাই চীন এটা চায়নার । তায বদলে অরুনাচল প্রদেশ ইন্ডিয়ার চায়না এটাকে সম্মতি দেবে। যার পরে এটা নিয়ে খুব একটা আলোচনা আগে বাড়ে নি‌। যতবার আলাপ আলোচনা হয়েছে তাতে দুটি দেশ তাদের পায়ের নিচের মাটি একটুকু ছাড়তে রাজি নয় । শেষমেষ বলতে গেলে এখনি কোন সঠিক স্থায়ী সমাধান পাওয়া মুস্কিল। বর্ডারে শান্তি বজায় থাক এতে দুটি দেশেরি মঙ্গল । 


আরও পড়ুন:শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে মুম্বাই ক্রুজ ড্রাগ মামলায় গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো- পড়ুন বিস্তারিত


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন